২০২৩-২৪ অর্থবছরে মোট ৭২ বিলিয়ন বা ৭ হাজার ২০০ কোটি ডলারের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
এর মধ্যে পণ্য রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৬ হাজার ২০০ কোটি ডলার, আর সেবা রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে এক হাজার কোটি ডলার।
২০২২-২৩ অর্থবছরের সাময়িক হিসাব অনুযায়ী, এই অর্থবছরে ৬৪৫ কোটি ৫৮ লাখ ডলারের পণ্য ও সেবা রপ্তানি করা হয়েছে।
চলতি বছরের জন্য পণ্য রপ্তানি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১১ দশমিক ৫৯ শতাংশ আর সেবা রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১১ দশমিক ১১ শতাংশ।
সব মিলিয়ে রপ্তানি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১১ দশমিক ৫২ শতাংশ।
আজ সচিবালয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি চলতি অর্থবছরের রপ্তানি আয়ের এই লক্ষ্যমাত্রার কথা জানান।
তিনি বলেন, অনেকেই মনে করেন, রপ্তানির এই লক্ষ্যমাত্রা উচ্চাভিলাষী। তবে গ্যাস, বিদ্যুৎ ও জ্বালানির নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করা সম্ভব হলে এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব।
তবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন যে গ্যাস-বিদ্যুতের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ না থাকলে এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব হবে না।
এ বিষয়ে বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি মো. হাতেম বলেন, ‘গ্যাস-বিদ্যুতের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ পাওয়ার কথা ছিল শিল্পের, কিন্তু আমরা তা পাচ্ছি না।
আবার দুই মাসের বিল বকেয়া থাকলেও লাইন কেটে দেওয়া হচ্ছে।
২০২৬ সালের পর সরকারের নগদ সহায়তা থাকবে না বলে বলা হচ্ছে, কিন্তু চীন এখনো নগদ সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে।
সে জন্য নগদ সহায়তা অব্যাহত রাখতে সরকারকে ভিন্ন পথ বের করতে হবে।’
আরও পড়ুন :