বাজার সঠিকভাবে চলছে না। ১৭ কোটি ভোক্তাকে জিম্মি করে ফেলেছে অদৃশ্য হাতের কারসাজি।
এমন পর্যবেক্ষণ খোদ জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামানের।
ভোক্তা ভোগান্তি কমাতে কৌশল বদলে কাজ করছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর।
এরই অংশ হিসেবে এবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগে চালু করা হচ্ছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন পড়ানোর কোর্স।
বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) এ নিয়ে সমঝোতা স্মারক সইয়ের এক অনুষ্ঠানে ভোক্তা অধিকারের মহাপরিচালক এ কথা জানান।
বর্তমানে বাজার অদৃশ্য হাতের ইশারায় চলছে উল্লেখ করে তিনি বলেন,
চাহিদা ও জোগানের ক্ষেত্রে কোনো সূত্রই কাজ করছে না।
বাজারে অদৃশ্য অনেক হাত রয়েছে, তারা দেশের ১৭ কোটি ভোক্তাকে জিম্মি করে রেখেছে।
এদিকে অনুষ্ঠানে মার্কেটিং বিশেষজ্ঞদের দাবি,
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার বড় বড় ৪ থেকে ৫টি কোম্পানির নিয়ন্ত্রণে থাকারই মাশুল গুনছেন ভোক্তারা।
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেন, সয়াবিন তেল, চিনি,
মসুর ডাল ও আটার মতো জিনিস বাজারের ৪ থেকে ৫টি কোম্পানি নিয়ন্ত্রণ করে।
কাজেই দেখা যাচ্ছে কতটা শক্তিশালী সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে।
তারা এক দিনের মধ্যে দাম বাড়াচ্ছে, আবার সাত দিনের মধ্যে দাম কমাচ্ছে।
এ সময় ভোক্তা অধিকারের মহাপরিচালকই জানালেন কেন ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে বাজার নিয়ন্ত্রণ করা বড় বড় কোম্পানি।
জিম্মি দশা কাটাতে উৎপাদন পর্যায়ে বড় বড় কারখানায় অভিযান চালিয়ে শক্তপোক্ত শাস্তি দিলে বাজার পণ্যশূন্য হয়ে পড়ার আশঙ্কা প্রকাশ করে তিনি বলেন,
‘যার মার্কেট শেয়ার ২৫ শতাংশ, যেভাবেই হোক সেই কোম্পানি তো দাঁড়িয়ে গেছে।
আমরা যদি সেই কোম্পানি বন্ধ করে দিই,
তাহলে বাজার ব্যবস্থায় একটি বড় রকমের ধাক্কা লাগবে।’
এ ছাড়া অনুষ্ঠানে শুধু কোম্পানিবান্ধব লাভজনক নীতি থেকে সরে বাজারবান্ধব নীতি নিয়ে করপোরেট কর্মকর্তাদের কাজ করার তাগিদ দেন আলোচকরা।