দীর্ঘ ১০ মাস পর হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি হলো কাঁচামরিচ ।
আমদানি করা কাঁচামরিচ বন্দরে বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকা কেজি দরে।
সোমবার (২৬ জুন) সকাল ১১ টার পরে কাঁচা মরিচের ট্রাক বন্দরে প্রবেশ করে।
ঊর্ধ্বমুখী কাঁচা মরিচের ঝাঁঝে নাজেহাল সাধারণ মানুষ।
প্রতিবছর ঈদে আগে তুলনামূলক চাহিদা বাড়ে কাঁচা মরিচের। এতে দামও বেড়ে যায়।
বর্তমানেও দেশের বাজারে কাঁচা মরিচের ঝাঁঝে দিশেহারা সাধারণ মানুষ।
দেশের বাজারে মরিচ বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ২৬০ থেকে ২৭০ টাকা পর্যন্ত।
এতে কাঁচামরিচের দাম নিয়ন্ত্রণে রোববার (২৫ জুন) কাঁচা মরিচ আমদানির অনুমতি দেয় কৃষি মন্ত্রণালয়।
আজ থেকে হিলি বন্দর দিয়ে শুরু হয়েছে মরিচ আমদানি। এর আগে গত বছরের আগষ্টে সবশেষ হিলিতে কাঁচা মরিচ আমদানি হয়েছিল।
বন্দরে কাঁচা মরিচ কিনতে আসা নবির জানান, হিলি বন্দর থেকে কাঁচা মরিচ কিনে দেশের বিভিন্ন দূর-দূরান্তে পাঠানো হয়।
আজকেও প্রতি কেজি ২২০ টাকা দরে এক গাড়ি মরিচ কিনেছি। এসব মরিচ যাবে ঢাকার কারওয়ান বাজারে।
হিলি স্থলবন্দরের কাঁচা মরিচ আমদানিকারকের প্রতিনিধি আনোয়ার হোসেন বিনা জানান,
প্রতিবছর অতি বৃষ্টি ও খরায় কাঁচা মরিচের উৎপাদন কমে গেলে দেশি বাজারে কাঁচা মরিচের দাম বৃদ্ধি পায়।
এবারও দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচের দাম বেড়েছে ১০০ টাকার ওপরে।
বন্দরের আরেকজন আমদানিকারক শফিউল জানান, মরিচের ঝাঁঝ কমাতে ও
বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে সরকার কাঁচা মরিচ আমদানির অনুমতি দেয়ার পর সোমবার দীর্ঘ ১০ মাস পর হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি হয়েছে কাঁচা মরিচ।
এদিকে কাঁচা মরিচ পচনশীল পণ্য হওয়ায় দ্রুত ছাড় দিতে বন্দরের সঙ্গে আলোচনা করে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানান হিলি কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম।
হিলি কাস্টমসের তথ্য অনুযায়ী, প্রথম দিন ভারতীয় ২টি ট্রাকে ১৬ হাজার ১৬৫ কেজি কাঁচা মরিচ আমদানি হয়েছে। প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ আমদানিতে শুল্ক দিতে হচ্ছে ৩২ টাকা ৫০ পয়সা।
আরও পড়ুন :