হাঁকডাক ও ক্রেতাদের আনাগোনা আর দরকষাকষিতে রাজধানীর কোরবানির পশুর হাটে বেচাকেনার আমেজ বিরাজ করছে।
পছন্দের পশু যাচাই-বাছাই করতে এক হাট থেকে অন্য হাটে ঘুরছেন অনেক ক্রেতা। তবে গরুর দাম নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানান তারা।
সোমবার (২৬ জুন) রাজধানীর গাবতলী পশুর হাটে সরেজমিন দেখা গেছে, সকাল থেকে হাট ঘুরে পশু দেখছেন ক্রেতারা।
তারা বাজেট ও পছন্দের সঙ্গে মিলিয়ে পশু যাচাই-বাছাই করছেন।
এদিকে বিক্রেতারা গরুর বিভিন্ন বাহারি নাম দিয়ে ক্রেতা আকৃষ্ট করার চেষ্টা করছেন।
হাটে বড় আকৃতির গরুর দাম ১০ লাখ থেকে ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত হাঁকা হচ্ছে।
আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে গরুর দাম ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত উঠেছে। তবে দেখাশোনা আর দরকষাকষিতে আটকে আছে এসব পশুর বেচাকেনা।
আজ (রোববার) বিকেল থেকে ঈদের আগের রাত পর্যন্ত জমজমাট বিক্রির প্রত্যাশা করছেন বিক্রেতা।
বিক্রেতারা বলছেন, যদিও দাম ১৫ লাখ থেকে ২০ লাখ টাকা হাঁকা হচ্ছে, তবে তারা কিছু কমে ছেড়ে দিতে চান। এখন পর্যন্ত হাট শুরুর দুদিনে ক্রেতারা শুধু গরুগুলো ঘুরে ঘুরে দেখেছেন।
কিছু ক্রেতা দরদাম করলেও তারা ১০ লাখ টাকার বেশি দাম বলছেন না। বেশির ভাগ সময়েই বড় আকৃতির গরুর দাম ৭ লাখ টাকা হাঁকা হচ্ছে।
এক বিক্রেতা বলেন, ‘আমি আমার গরুর দাম ১৫ লাখ টাকা চেয়েছি। কিন্তু কেউই এই টাকায় কিনতে রাজি হচ্ছে না।
ফলে দাম নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে বিক্রেতারা আশা প্রকাশ করে জানান, ঈদ যত ঘনিয়ে আসবে বেচাবিক্রি বাড়বে।
কারণ, রাজধানীতে শেষ মুহূর্তেই বেচাবিক্রি জমে ওঠে।
বড় আকারের গরুগুলো সাধারণত ঈদের আগের রাতে বা ঈদের আগের দিন বিকেল থেকে বিক্রি হয়।
শেষ সময়ে ভালো দামে গরু বিক্রির প্রত্যাশা করে আরেক বিক্রেতা বলেন, ঈদের আগের দিকে বেচাবিক্রি হয়। তাই এখনে গরু ধরে রেখেছি। আশা করছি, বিক্রি বাড়বে।
হাটে গরুর দাম বেশির কারণে হিসেবে বিক্রেতারা জানান, গো-খাদ্যের দাম বেশি হওয়ায় গরুর বাড়তি দাম হাঁকতে তারা বাধ্য হচ্ছেন।
তবে সামান্য মুনাফা হলেই তারা গরু ছেড়ে দেবেন।
গরুর চড়া দামের কারণে পছন্দের পশু যাচাই-বাছাই করতে এক হাট থেকে অন্য হাটে ঘুরছেন অনেক ক্রেতা।
তারা জানান, অতিরিক্ত দামের কারণে এবার হয়তো বড় আকারের গরুগুলো তারা কিনতে পারবেন না।
আবার অনেক ক্রেতা বলছেন ভিন্ন কথাও। এক ক্রেতা বলেন, ‘গরুর দাম সহনীয় পর্যায়ে আছে। ঘুরে দেখছি, পছন্দ হলে কিনে ফেলব।
ফলে হাটে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ছোট ও মাঝারি আকারের গরুর চাহিদা বেশি। তাই এর দামও বাড়তি হাঁকছেন ব্যবসায়ীরা।
এক একটি গরুর দাম ৩ লাখ টাকা থেকে ৪ লাখ টাকা হাঁকা হচ্ছে।