যাত্রীবাহী সাপ্তাহিক ফ্লাইটের সংখ্যা বাড়ানোর ব্যাপারে একমত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন।
বর্তমানে দুই দেশের মধ্যে যত ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি আছে তা দ্বিগুণ করার বিষয়ে অনুমোদন দিয়েছে উভয় পক্ষ।
সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাত দিয়ে শুক্রবার (১১ আগস্ট) এ খবর জানিয়েছে রয়টার্স।
প্রতিবেদন মতে, মার্কিন পরিবহন বিভাগ ইউএসডিওটি আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে যুক্তরাষ্ট্রে অনুমোদিত চীনা সাপ্তাহিক ফ্লাইটের সংখ্যা বাড়িয়ে ১৮টি করবে।
এরপর আগামী ২৯ অক্টোবর থেকে এই ফ্লাইটের সংখ্যা বাড়িয়ে ২৪টি করা হবে।
বর্তমানে এই ফ্লাইটের সংখ্যা ১২টি। একইভাবে চীনও যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লাইটের সংখ্যা বাড়াবে।
করোনা মহামারির সময় যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও অস্ট্রেলিয়ার ওপর ভ্রমণ বিষয়ক যে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছিল গত বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) তা তুলে নেয় চীন।
এর একদিন পরই বেইজিং ও ওয়াশিংটনের মধ্যে সাপ্তাহিক ফ্লাইট সংখ্যা বাড়ানোর ব্যাপারে সমঝোতা চুক্তি হয়।
চুক্তিটিকে প্রতিদ্বন্দ্বী দেশ দুটির মধ্যে সহযোগিতার বিরল দৃষ্টান্ত হিসেবে দেখা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে শুক্রবার (১১ আগস্ট) নিজেদের সিদ্ধান্ত জানায় মার্কিন পরিবহন বিভাগ ইউএসডিওটি।
তবে এ বিষয়ে হোয়াইট হাউস, মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ওয়াশিংটনে নিযুক্ত চীনা দূতাবাস কোনো মন্তব্য করেনি।
ইউএসডিওটি’র প্রকাশিত একটি নথিতে বলা হয়,
‘আমাদের লক্ষ্য হলো একটি উন্নত পরিবেশ তৈরি করা যেখানে উভয় পক্ষের এয়ারলাইনগুলো প্রতিযোগিতামূলক ভারসাম্য ও ন্যায্য ও সমান সুযোগ কাজে লাগিয়ে নিজ নিজ অধিকার সম্পূর্ণরূপে ভোগ করতে পারে।’
করোনা মহামারির আগে দুই দেশের মধ্যে সপ্তাহে ১৫০টি ফ্লাইটের আসা যাওয়া করত।
মহামারির কারণে ২০২০ সালের শুরুর দিকে ফ্লাইট চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।
এরপর বিধিনিষেধ একটু শিথিল হলে চলতি বছরের মে মাসে ইউএসডিওটি সাপ্তাহিক চীনা ফ্লাইটের সংখ্যা ১২টি করার কথা জানায়।
বেইজিং যুক্তরাষ্ট্রের একই সংখ্যক ফ্লাইট অনুমোদন করে।
নতুন চুক্তির ফলে আগামী মাসের শুরু থেকে এই সংখ্যা ২৪টিতে দাঁড়াবে।
তবে মহামারি পূর্বের ফ্লাইট সংখ্যা ১৫০টির তুলনায় এটা ভগ্নাংশমাত্র।