নেপাল থেকে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির বিষয়ে চুক্তিতে রাজি হয়েছে বাংলাদেশ।
শিগগিরই ২৫ বছর মেয়াদি এই চুক্তি সই হবে বলে জানিয়েছে কাঠমান্ডু।
রোববার (৯ জুলাই) নেপালের বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ (এনইএ) কর্মকর্তাদের বরাতে এ খবর জানিয়েছে কাঠমান্ডু পোস্ট।
গত জুনে নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দহলের ভারত সফরে উভয়দেশের মধ্যে বেশ কয়েকটি চুক্তি ও সমঝাোতা স্মারক সই হয়।
এতে, ভারতের ভূখণ্ড ব্যবহার করে নেপালের জলবিদ্যুৎ বাংলাদেশে পাঠাতে রাজি হন দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী।
সেসময় সংবাদ সম্মেলনে নেপালের প্রধানমন্ত্রী জানান,
ভারত হয়ে প্রায় ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বাংলাদেশে রফতানি করবে দেশটি।
এতে নয়াদিল্লির সম্মতিকে স্বাগতও জানান পুষ্প কমল দহল।
নেপালের প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের এক মাসের মাথায় এসে এবার নেপাল থেকে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির বিষয়ে চুক্তিতে রাজি হয়েছে কাঠমান্ডু ও ঢাকা।
এরই মধ্যে ২৫ বছর মেয়াদি ওই চুক্তির বিষয়বস্তু চূড়ান্ত হয়েছে বলেও জানিয়েছে উভয়পক্ষ।
যেহেতু ভারত হয়ে এই বিদ্যুৎ আসবে, সেজন্য দিল্লির সঙ্গে একটি ত্রিপক্ষীয় চুক্তি করবে ঢাকা ও কাঠমান্ডু।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানির জন্য ব্যবহৃত বহরমপুর-ভেড়ামারা হাই-ভোল্টেজ ক্রস-বর্ডার ট্রান্সমিশন লাইনের মাধ্যমে নেপাল থেকে বিদ্যুৎ আসবে।
নেপালের লিখু-৪ জলবিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে এই বিদ্যুৎ আসবে।
চুক্তির বিষয়ে উভয়পক্ষ রাজি হলেও ট্যারিফের বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোন সিদ্ধান্ত হয়নি বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
যেহেতু জিটুজি বা দুই দেশের সরকারি পর্যায়ে এই চুক্তি হচ্ছে তাই তুলনামূলক সাশ্রয়ী দামেই উভয়পক্ষের মধ্যে বিদ্যুৎ বাণিজ্য হবে বলেও জানানো হয়।
কাঠমান্ডু পোস্ট আরও জানায়, ভারতের সঞ্চালন লাইন ব্যবহার করে এ বিদ্যুৎ আসায় ট্রান্সমিশন চার্জ ও সার্ভিস ফি দিতে হবে দেশটির রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল থার্মাল পাওয়া কোম্পানিকে।
প্রচলিত নিয়মে ইউনিট প্রতি ট্রান্সমিশন চার্জ ভারতীয় রুপিতে ৪০-৪৫ পয়সা হতে পারে।
এছাড়া ৪ থেকে ৭ পয়সা পরিষেবা চার্জ যুক্ত হতে পারে।
নেপালের এনইএ, বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড-পিডিবি এবং ভারতের এনটিপিসির মধ্যে ত্রিপক্ষীয় এই চুক্তি সই হবে।
আরও পড়ুন :