লাগামছাড়া কাঁচা মরিচের বাজার। প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে দাম। কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৬৫০ টাকায়।
বেশ কিছুদিন ধরেই লাগামহীন দেশের কাঁচা মরিচের বাজার।
এতে বাজার নিয়ন্ত্রণে গত ২৫ জুন সরকার কাঁচা মরিচ আমদানির অনুমতি দেয়। তবুও কমছে না মরিচের দাম।
এবার ঢাকার কেরানীগঞ্জের বাজারগুলোতে কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকায়।
যা ক্রয়সীমার একেবারেই বাইরে বলে দাবি ক্রেতাদের।
তারা বলেন, ঈদকে ঘিরে সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্যে এই অবস্থা। সরকার ভারত থেকে আমদানির অনুমতি দিয়েছে।
এরপরও কমছে না দাম। এর পেছনে অসাধু ব্যবসায়ীরা দায়ী।
দীপ বর্মণ নামে এক ক্রেতা জানান,
বাজারে মরিচের দাম লাগামছাড়া। কেন মরিচের এত দাম হবে? ইতোমধ্যে সরকার মরিচ আমদানির অনুমতি দিয়েছে।
ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে দাম বাড়াচ্ছে।
আমেনা বেগম নামে এক নারী ক্রেতা বলেন,
মরিচ ছাড়া তরকারি রান্না করা যায় না। অন্য মসলা না থাকলেও চলে; কিন্তু মরিচ ছাড়া তরকারি স্বাদ হয় না।
কিন্তু যে ভাবে মরিচ এর দাম বাড়ছে; মরিচ কেনাই কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ছে।
বিক্রেতারা জানান, বেশ কয়েকদিন ধরেই ঊর্ধ্বমুখী কাঁচা মরিচ এর বাজার।
এ ছাড়া পাইকারিতেই কেজিতে দাম পড়ছে ৫৫০ টাকার ওপরে।
আলাউদ্দিন নামে এক বিক্রেতা বলেন,
এক সপ্তাহ ধরে কোরবানির পশু আনা-নেয়ার কাজে ট্রাকগুলো ব্যস্ত থাকায় মরিচের সরবরাহ তেমন হয়নি।
পাশাপাশি এখন বৃষ্টির সময়। এ সময়ে এমনিতেই দাম বেড়ে যায় মরিচের।
আরেক বিক্রেতা নাজিম বলেন,
পাইকারিতে কাঁচা মরিচ কিনতে হচ্ছে ৫৫০ টাকার ওপরে। শ্যামবাজার থেকে ৫৫০ টাকায় ২০ কেজি মরিচ কিনে এনেছি।
তবে দাম বেশি হওয়ায় ও ঈদের সময় হওয়ায় বিক্রি হচ্ছে না।
কাঁচা মরিচের পাইকারি দাম জানতে পুরান ঢাকার শ্যামবাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজারে নেই তেমন বেচাকেনা।
মাত্র ৬ থেকে ৭ জন বিক্রেতা কাঁচা মরিচ বিক্রি করছেন। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৩০ থেকে ৫৫০ টাকায়।
শ্যামবাজারের মরিচ বিক্রেতা আব্দুল সময় সংবাদকে জানান,
কয়েকদিন ধরেই বাড়ছে কাঁচা মরিচের দাম। মূলত বর্ষার কারণে আমদানি কম।
এখন পাইকারিতে প্রতি ৫ কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৬৫০ টাকা থেকে ২ হাজার ৭৫০ টাকায়।
কাঁচা মরিচের এই ঊর্ধ্বমুখী দাম নিয়ন্ত্রণে এখনই লাগাম টেনে ধরার আহবান জানিয়েছে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ই।
ক্রেতারা বলছেন, নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হয় না। এতে বিক্রেতারা ইচ্ছেমতো দাম বাড়ানোর সুযোগ পায়।
আর বিক্রেতারা বলেন, সরবরাহ কম থাকার পাশাপাশি কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ইচ্ছে করেও দাম বাড়াচ্ছে।
বাজারে নিয়মিত অভিযান চালালে অসাধুদের দৌরাত্ম্য কমবে। এছাড়া ভারত থেকে আমদানি অব্যাহত থাকলে; দাম কমে আসবে।
কাঁচা মরিচের বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকার ২৫ জুন থেকে মরিচ আমদানির অনুমতি দিয়েছে। তবু কমছে না মরিচের দাম।
এরমধ্যে দুইদিন আমদানির পর ঈদের কারণে আপাতত বন্ধ রয়েছে মরিচ আমদানি কার্যক্রম।