1. aoroni@nobanno.com : AORONI AKTER : AORONI AKTER
  2. aporna@gmail.com : Aporna Halder : Aporna Halder
  3. admin@hostitbd.xyz : hostitbd :
  4. admin@nobannotv.com : nobannotv.com : Nobannotv com
নিত্যপণ্যের সংকটে ভারতের রফতানির নিষেধাজ্ঞা — Nobanno TV
শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:০৩ পূর্বাহ্ন

নিত্যপণ্যের সংকটে ভারতের রফতানির নিষেধাজ্ঞা

নবান্ন
  • আপডেট সময় : বৃহস্পতিবার, ২০ জুলাই, ২০২৩
  • ৯০ বার পঠিত
নিত্যপণ্যের

দেশে যখন নিত্যপণ্যের সংকট দেখা যায় ঠিক তখনই ভারত থেকেও আসে রফতানির নিষেধাজ্ঞা।

এতে আমদানি বাধাগ্রস্ত হওয়ায় সরবরাহ কমে গেলে দেশের খোলা বাজারে পণ্যের দাম থাকে আকাশছোঁয়া। অস্থিরতা দেখা দেয় বাজারে।

তবে ভারতের সঙ্গে কোটাচুক্তিতে খাদ্যদ্রব্য আমদানি ও রুপিতে পণ্যের ঋণপত্র বাস্তবায়ন হলে এ সংকট কাটবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

জানা গেছে,

বৈশ্বিক মন্দার মধ্যেও গেল ২০২২-২৩ অর্থবছরে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে ৬ লাখ ১৯ হাজার ১৯৩ মেট্রিক টন বিভিন্ন ধরনের খাদ্যদ্রব্য আমদানি হয়েছে।

আমদানি করা পণ্যের মধ্যে ছিল চাল, ডাল, গম, ভুট্টা, পেঁয়াজ, মরিচও মাছসহ বিভিন্ন ধরনের খাদ্যদ্রব্য।

তবে আরও বেশি চাহিদা থাকলেও নানান সংকটে ভারতের রফতানি নিষেধাজ্ঞায় দেশের বাজার অস্থির হয়ে ওঠে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দেশে যে পরিমাণ খাদ্যদ্রবের চাহিদা রয়েছে, তার বিপরীতে উৎপাদন কম হওয়ায় বছরের প্রায় অধিকাংশ সময় আমদানি করে প্রয়োজন মেটাতে হয়।

আর এ আমদানির বড় একটি অংশ আসে ভারত থেকে।

গেল ২০২২-২৩ অর্থবছর বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে ৬০ হাজার কোটি টাকার প্রায় ২৫ লাখ মেট্রিক টন পণ্যের আমদানি-রফতানি বাণিজ্য হয়েছে।

এর মধ্যে ৬ লাখ ১৯ হাজার ১৯৩ মেট্রিক টন ছিল খাদ্যদ্রব্য।

তবে দেশে যখন নিত্যপণ্যের সংকট দেখা যায় ঠিক তখনই ভারত থেকেও আসে রফতানির নিষেধাজ্ঞা।

এতে আমদানি বাধাগ্রস্ত হওয়ায় সরবরাহ কমে খোলা বাজারে দাম বাড়ে আকাশছোঁয়া।

এ অবস্থা থেকে উত্তরণে সরকার ভারতের সঙ্গে নিত্যপণ্যের কোটা চুক্তি করে।

এ চুক্তিতে গম ৪৫ লাখ মেট্রিক টন, চাল ২০ লাখ, পেঁয়াজ ৭ লাখ, চিনি ১৫ লাখ, আদা দেড় লাখ টন, ডাল ৩০ হাজার ও রসুনের ১০ হাজার মেট্রিক টন কোটা রাখার অনুরোধ করা হয় ভারতের কাছে।

এটি বাস্তবায়ন হলে যখন-তখন রফতানি নিষেধাজ্ঞা আসবে না।

এ ছাড়া ডলার সংকট মেটাতে রুপিতে পণ্যের ঋণপত্র খোলা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনা হয়েছে।

বেনাপোল আমদানি-রফতানি সমিতির সহসভাপতি আমিনুল হক জানান,

নয়াদিল্লিতে গত বছরের ২২-২৩ ডিসেম্বর বাংলাদেশ-ভারত বাণিজ্যমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে কোটা চুক্তিতে পণ্য আমদানির দাবি তোলা হয়।

তবে বেশ আগে থেকেই পার্শ্ববর্তী দেশ ভুটান ও মালদ্বীপকে খাদ্যদ্রব্য রফতানিতে কোটা-সুবিধা দিয়ে আসছে ভারত।

ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক ভালো থাকায় বৈশ্বিক মন্দার মধ্যেও গেল বছর প্রচুর পরিমাণে খাদ্যদ্রব্য জাতীয় পণ্য আমদানি হয়েছে।

তবে রফতানি নিষেধাজ্ঞায় খাদ্যদ্রব্যের আমদানি কিছুটা কমে।

আমদানি স্বাভাবিক থাকলে দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম সহজে বাড়বে না।

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান জানান,

হঠাৎ ভারতের রফতানি নিষেধাজ্ঞায় দেশের বাজার অস্থিরর হয়ে ওঠে।

কোটা চুক্তি বাস্তবায়ন হলে খাদ্য আমদানিতে ঘাটতি কমবে।

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সামছুর রহমান জানান,

‘বড় অঙ্কের বাণিজ্য হয় ভারতের সঙ্গে।

সে ক্ষেত্রে আমাদের অধিকার অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে দ্রুত কোটা চুক্তি বাস্তবায়নের দাবি জানাচ্ছি।

নবান্ন টিভি

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই রকম আরো কিছু জনপ্রিয় সংবাদ

© All rights reserved © 2023 nobannotv.com
Design & Development By Hostitbd.Com