বেশ কিছুদিন ধরে স্থিতিশীল অবস্থায় থাকার পর এবার নতুন করে বাড়তে শুরু করেছে পেঁয়াজের দাম।
ভারতে দাম বৃদ্ধি ও আমদানি কমায় সরবরাহ কমের অজুহাতে মাত্র একদিনের ব্যবধানে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে পাইকারিতে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে পাঁচ থেকে ছয় টাকা।
হিলি স্থলবন্দর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে,
স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রয়েছে।
বন্দর দিয়ে নাসিক ও ইন্দোর এই দুই জাতের পেঁয়াজ বেশ কিছুদিন ধরেই আমদানি অব্যাহত রয়েছে।
বর্তমানে বন্দরে ইন্দোর জাতের পেঁয়াজ ৩২ থেকে ৩৩ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। যা একদিন আগেও ২৭ থেকে ২৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছিল।
এছাড়া নাসিক জাতের পেঁয়াজ ৩৪ থেকে ৩৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে যা পূর্বে ৩১ থেকে ৩২ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছিল।
একইভাবে স্থানীয় হিলির কাঁচাবাজারে পেঁয়াজের দাম বাড়তি হয়েছে। একদিন আগে ২৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও বর্তমানে তা বেড়ে ৩২ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
হিলি বাজারের এক পেঁয়াজ বিক্রেতা বলেন,
আমরা মূলত হিলি স্থলবন্দর থেকে কিছুটা নিম্নমানের ব্যালেন্স পেঁয়াজগুলো ক্রয় করে এনে বাজারে বিক্রি করি।
কিন্তু হঠাৎ করে গতকাল থেকে বন্দরে পেঁয়াজের দাম বাড়তি। ভারতে নাকি বন্যা হয়েছে যার কারণে দাম বাড়তি বলছেন আমদানিকারকরা।
যার কারণে আমরাও বন্দর থেকে বাড়তি দামে পেঁয়াজ ক্রয় করে স্থানীয় বাজারে কিছুটা বাড়তি দামেই বিক্রি করছি।
হিলি স্থলবন্দরে পেঁয়াজ কিনতে আসা এক পাইকার বলেন,
বেশ কিছুদিন ধরেই পেঁয়াজের দাম স্থিতিশীল ছিল।
পেঁয়াজের দাম প্রকারভেদে ইন্দোর জাতের পেঁয়াজ ২৭ থেকে ২৮ টাকা আর নাসিক জাতের পেঁয়াজ ৩১ থেকে ৩২ টাকার মধ্যেই ছিল।
এতে করে আমরা হিলি স্থলবন্দর থেকে পেঁয়াজ কিনে দেশের বিভিন্ন মোকামে চাহিদামত সরবরাহ করতাম।
কিন্তু গতকাল থেকে স্থলবন্দরে হঠাৎ করে পেঁয়াজের দাম বাড়তি।
কিন্তু দেশের মোকামে এখনো পেঁয়াজের দাম না বাড়ায় আমরা বন্দর থেকে পেঁয়াজ কিনতে গিয়ে বিপাকের মধ্যে পড়ে গেছি।
যার কারণে গতকাল পেঁয়াজ কিনতে পারিনি আজ মোকামে চাহিদা মোতাবেক যদি পড়তা পরে তাহলে হয়তো পেঁয়াজ কিনবো।
হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন,
বন্দর দিয়ে পেঁয়াজের আমদানি অব্যাহত থাকলেও আমদানির পরিমাণ কিছুটা কমেছে।
পূর্বে বন্দর দিয়ে ৪০ থেকে ৫০ ট্রাক পেঁয়াজ আমদানি হলেও বর্তমানে তা কমে ২০ থেকে ৩০ ট্রাকে নেমেছে।
মঙ্গলবার (১লা আগস্ট) বন্দর দিয়ে ৩৪টি ট্রাকে ১ হাজার ৪১ টন পেঁয়াজ আমদানি হলেও বুধবার বন্দর দিয়ে তা আরও কমে ২০ ট্রাকে ৫৮৩ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে।
চলতি সপ্তাহের রোববার থেকে বুধবার পর্যন্ত বন্দর দিয়ে ১৫৩টি ট্রাকে ৪ হাজার ৬৪৪ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে।
পেঁয়াজ যেহেতু কাঁচাপণ্য গরম ও বৃষ্টিতে পচে নষ্ট হয়ে যায়।
সেই কারণে কাস্টমসের সকল কার্যক্রম শেষে আমদানিকারকরা যেন দ্রুত খালাস করে নিতে পারেন সেজন্য বন্দর কর্তৃপক্ষ সবধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করে রেখেছে।