সম্প্রতি দুবাইভিত্তিক এমএলএম কোম্পানি মেটাভার্স ফরেন এক্সচেঞ্জে (এমটিএফই) বিনিয়োগ করে সর্বস্বান্ত হয়েছেন দেশের লাখো মানুষ।
এবিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, একটি বিষয় স্পষ্ট যে ক্রিপটোকারেন্সি বাংলাদেশে বৈধ নয়।
কাজেই কেউ যদি এটিতে লেনদেন করে থাকেন, সেটি সম্পূর্ণ অবৈধ।
মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) সচিবালয়ে অনলাইনের মাধ্যমে আর্থিক প্রতারণা এবং অবৈধ ও যাচাইবিহীন আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত সভাশেষে সংবাদকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন,
যখনই কারেন্সির (মুদ্রা) প্রশ্ন আসে, এটির সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ হচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
তবে আমরা যারা ডিজিটাল দুনিয়াতে কাজ করি, এটি নিয়ে আমাদের উদ্বেগ থেকেই যায়।
তিনি আরও বলেন, ক্রিপটোকারেন্সি আসার পর থেকে অনেকেই প্রশ্ন করেন, আপনারা কী করেছেন? এটির বিষয়ে একটু বোঝার চেষ্টা করেন।
ডিজিটাল দুনিয়াতে একটি অ্যাপ চলছে, এটি এমন কিছু ঘটনা না যে আমি চট করে তাতে সব মনোযোগ দিয়ে বসে থাকবো।
সাংবাদিকদের উদ্দেশ করে মোস্তাফা জব্বার বলেন, আপনারা জেনে অবাক হবেন, গতকাল বা আগের দিন পুলিশের কাছে কিছু অভিযোগ এসেছে।
কিন্তু তার আগ পর্যন্ত তো কোনো অভিযোগ আসেনি।
যে কোনো বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া দরকার পড়লে প্রথমে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকতে হবে। তারপর তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার প্রশ্ন আসে।
বিষয়টিকে একটি চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে তিনি বলেন,
এটি আমাদের বাস্তব দুনিয়ার মতো না যে অপরাধ হচ্ছে, সেই অপরাধ কেবল আমাদের দেশের পরিসীমার মধ্যে হচ্ছে এবং ভৌগোলিকভাবে আমরা চিহ্নিত করতে পারছি।
আপনারা যে অপরাধের কথা বলছেন, তা বাংলাদেশের অভ্যন্তরে হয়নি। তবে বাংলাদেশের মানুষ তাতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, অ্যাপটি দুবাইভিত্তিক । যারা টাকা দিয়েছেন বা অংশগ্রহণ করেছেন, তারা বাংলাদেশসহ বিশ্বের অন্যান্য জায়গা থেকে অংশ নিয়েছেন।
এটি ডিজিটাল দুনিয়ার স্বাভাবিক নিয়ম। এতে লেনদেনের ক্ষেত্রে অবস্থান গুরুত্বপূর্ণ নয়। লেনদেন করা দরকার, তারা তা করছেন।
তিনি আরও বলেন, সেদিক থেকে আমরা যতটুকু বুঝি যে এটি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাজ।
তাদের কাছে অভিযোগ এসেছে বলে আমরা জানি। যার ভিত্তিতে তদন্ত চলছে।
কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং ভবিষ্যতেও হবে। এ সম্পর্কে যা যা ব্যবস্থা নেয়া দরকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সব ব্যবস্থা নিয়েছে।
প্রতারণার মাধ্যমে অবৈধ লেনদেনের পরিমাণের বিষয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, এই মুহূর্তে মিডিয়াতে যা দেখেছেন, তার সবই আন্দাজ।
প্রকৃত তথ্য আমাদের পাওয়ার কথা না। আর্থিক বিষয়গুলোর তথ্য বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে রয়েছে।