ঢাকার বাজারে গরুর মাংসের দাম কেজিপ্রতি ৫০ টাকা কমিয়ে বিক্রির ঘোষণা দিয়েছে গো-খামারিদের সংগঠন বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিডিএফএ)।
তবে এর মধ্যে চার দিন পার হলেও খুচরা বাজারে দাম কমেনি গরুর মাংসের।
উল্টো কোনো কোনো বাজারে কেজিপ্রতি ৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে দাম।
গো-মাংসের দাম কমিয়ে ভোক্তাদের ক্রয়সীমার মধ্যে আনার লক্ষ্যে গত মাসের ৩০ জুলাই জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে কর্মশালার আয়োজন করে বিডিএফএ।
কর্মশালায় বিডিএফএ সভাপতি ইমরান হোসেন বলেন, ‘আমরা গরুর মাংসের দাম কমাতে চাই।
এর অংশ হিসেবে খামারিরা যে দামে গরুর মাংস বিক্রি করছে, ৩১ জুলাই থেকে তার চেয়ে ৫০ টাকা কমে বিক্রি করবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘গরুর মাংসের দাম ভোক্তার নাগালের মধ্যে আনতে চাই।
এর পরিপ্রেক্ষিতে এই অ্যাসোসিয়েশনের খামারিরা প্রাথমিক পর্যায়ে ৫০ টাকা কমে গরুর মাংস বিক্রি করবেন।’
তবে বাজারে এর প্রভাব পড়েনি বলে জানান ক্রেতারা।
উল্টো বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে গরুর মাংস।
রায়হান নামে এক ক্রেতা বলেন, কোরবানির পর দাম না বাড়লেও চলতি সপ্তাহে বেড়েছে গরুর মাংসের দাম।
হঠাৎ করেই দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
ইউসুফ হোসাইন নামে আরেক ক্রেতা বলেন, গরুর মাংসের দাম কমানোর ঘোষণা দেয়া হলেও বাজারে এর কোনো প্রভাব নেই।
বাজার তদারকিও করা হচ্ছে না। এতে বিক্রেতারা খেয়ালখুশিমতো দামে মাংস বিক্রি করছেন।
আর বিক্রেতারা বলছেন, সরবরাহ ঘাটতি ও গো-খাদ্যের দাম বাড়ার কারণে বাজারে মাংসের দাম কমানো সম্ভব হচ্ছে না।
কেরানীগঞ্জের কালীগঞ্জ বাজারের মাংস বিক্রেতা হাকিম বলেন, খামারগুলো থেকে পর্যাপ্ত গরু পাওয়া যাচ্ছে না। এতে দাম কিছুটা বাড়তি।
রাজধানীর পলাশী বাজারের মাংস বিক্রেতা আসলাম বলেন,
পাশাপাশি দামও চড়া। ফলে স্বাভাবিকভাবেই বাড়ছে দাম।
রাজধানীর হাতিরপুল বাজারের বিক্রেতা সজল জানান, খামারগুলোতে দাম বাড়ছে গরুর।
মূলত গো-খাদ্য, ওষুধ ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক খরচের দাম বাড়ায়, খামারিরা দাম বাড়াতে বাধ্য হচ্ছেন।
এতে খুচরা বাজারেও মাংসের দাম বাড়ছে।
তবে মাংস ব্যবসায়ীদের অভিযোগ অস্বীকার করে খামারিরা বলেন, গরুর পর্যাপ্ত জোগান রয়েছে।
খামার পর্যায়ে দাম বাড়েনি গরুর। উল্টো গরুপ্রতি ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা কমেছে।
গরুর খামারি ফারুক মিয়া বলেন, কোরবানির পর চাহিদা কমে যাওয়ায় গরুর দামও কমে গেছে।
তবে মাংসের দোকানগুলোতে আনুষঙ্গিক খরচ থাকায় দাম বাড়তে পারে।
আরেক গরু ব্যবসায়ী কার্তিক বলেন, খামারগুলোতে গরুর জোগান স্বাভাবিক রয়েছে।
দাম বাড়েনি। মাংস ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে দাম বাড়াতে পারেন।
গরুর মাংসের দাম প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিডিএফএ সভাপতি ইমরান হোসেন বলেন,
এ ছাড়া গরুর লালনপালন খরচ কমানোর জন্য প্রান্তিক খামারিদের নানা পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
তবে ঢাকার মাংস ব্যবসায়ীদের দাম কমানোর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, খামার পর্যায় থেকে দাম কমলে মাংসের দোকানেও দাম কমবে।
কিন্তু কোরবানির পর এখন মাংসের তেমন চাহিদা না বাড়ায় বিক্রি বাড়েনি।
এতে ব্যবসায়ের আনুষঙ্গিক খরচ জোগাতে অনেক ব্যবসায়ী এখনও মাংসের দাম কমাতে পারেনি বলে জানান ইমরান হোসেন।
তিনি বলেন, শিগগিরই মাংস ব্যবসায়ীদের সঙ্গেও আলোচনায় বসবে বিডিএফএ।
আলোচনা করে দোকানগুলোতেও দাম কমানোর উপায় খুঁজে বের করা হবে।
ক্যাবের সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, বিডিএফএ যে দাম নির্ধারণ করেছে, সেই দাম নিশ্চিতের জন্য কাজ করতে হবে।
পাশাপাশি ভোক্তাদেরও সচেতন থাকতে হবে। কোনোভাবেই বাড়তি পণ্য ক্রয় না করলে, বিক্রেতারা দাম কমাতে বাধ্য হবেন।
এর আগে গরুর মাংস সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আনতে গত ২০ জুন গরু ও গরুর মাংস আমদানির নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মাহমুদুল হাসান।
রিট আবেদনে বলা হয়েছে, গরুর মাংস বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের অন্যতম প্রধান খাদ্য।
কিন্তু বাজারে গরুর মাংসের দাম অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে এবং ৭৫০ থেকে ৮৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে এবং প্রতিনিয়ত দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে।
গরুর মাংস ইতোমধ্যে নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে।
আমদানি নীতি ২০২১-২৪ অনুযায়ী গরুর মাংস একটি আমদানিযোগ্য পণ্য উল্লেখ করে এতে আরও বলা হয়,
অপরদিকে ‘দি ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ অর্ডার’ ১৯৭২-এর ধারা ১২ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানির মাধ্যমে বাজারে পণ্য সরবরাহ নিশ্চিত করে বাজারমূল্য সহনীয় রাখা টিসিবির আইনি কর্তব্য।
কিন্তু টিসিবি বিদেশ থেকে জীবন্ত গরু এবং গরুর মাংস আমদানি না করে তার আইনি কর্তব্য পালনে ব্যর্থ হয়েছে।
অপরদিকে দায়িত্বপ্রাপ্ত এসব মন্ত্রণালয় ও সংস্থার ব্যর্থতার জন্য বাজারে গরুর মাংস নিম্নবিত্ত ও
মধ্যবিত্ত জনগণের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে বলেও রিট আবেদনে অভিযোগ করা হয়।
আর গত ৩০ জুলাই জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে মাংসের মূল্যহ্রাস করে ভোক্তাদের ক্রয়সীমার মধ্যে আনার লক্ষ্যে আয়োজিত কর্মশালায় বিডিএফএ সভাপতি মো. ইমরান হোসেন আরও বলেন,
তবে সুর্নিদিষ্ট কিছু বিষয়ে কাজ করা গেলে মাংসের দাম কমানো সম্ভব।
এ সময় মাংসের দাম কমিয়ে ভোক্তাদের ক্রয়সীমার মধ্যে আনার লক্ষ্যে বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে বেশকিছু সুপারিশ করা হয়। এগুলো হলো–
জাত উন্নয়ন
বাংলাদেশে বর্তমানে প্রাণিসম্পদ অধিদফতর দেশীয় জাতের গরু কৃত্রিম প্রজননের জন্য ৪ ধরনের সিমেন প্রস্তুত করেন,
যথা: আরসিসি/নর্থ বেঙ্গল গ্রে/শাহীওয়াল/ মুন্সিগঞ্জ।
এসব জাতের গরু থেকে দুধ উৎপাদন করা সম্ভব নয়; শুধু মাংস উৎপাদনের কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে।
অপরদিকে দেশীয় গরুর সঙ্গে এসব জাত সংকরায়ণ না করে ব্রাহমানের মতো উন্নত জাতের সংকরায়ণ করা হয়,
তাহলে সমপরিমাণ শ্রম ও ব্যয়ের পরিবর্তে ২ বছরের একটা গরু থেকে ২৫০-৩০০ কেজি মাংস আহরণ করা সম্ভব।
এই একটা মাত্র পদক্ষেপই মাংসের উৎপাদন খরচের অনেক অংশ কমানো সম্ভব, যা সরাসরি মাংসের মূল্যহ্রাসে সাহায্য করবে।
উন্নত জাতের ঘাস
এই মুহূর্তে বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বেই দানাদার খাদ্যসহ অন্যান্য জিনিসের মূল্য অনেক বেশি,
সুতরাং গরুকে এই উচ্চমূল্যের দানাদার খাবারের পরিবর্তে উচ্চ প্রোটিনযুক্ত ও উচ্চ ফলনশীল সমৃদ্ধ ঘাস খাওয়াতে হবে।
এ অবস্থায় স্থানীয় সরকারের মাধ্যমে গ্রামসহ সব এলাকার অনাবাদি ঘাস জমিগুলো পতিত না রেখে ঘাস চাষের জন্য চাষিদের মধ্যে মৌখিকভাবে লিজ প্রদান করতে হবে।
টেকনিক্যাল ট্রেনিং
বাংলাদেশের সব প্রান্তেই নানা রকম ফসলের চাষ হয়, এসব ফসলের উচ্ছিষ্টাংশ যেমন ধানের খড়, ভুট্টা গাছের কাণ্ড, বিভিন্ন ডালের গাছ,
কলাগাছসহ অন্য সব ধরনের ফসলের বাইপ্রোডাক্ট প্রক্রিয়াজাতের মাধ্যমে খুব উচ্চমানের গো-খাদ্য তৈরি সম্ভব।
দানাদার খাদ্যের পরিবর্তে চাষিরা কীভাবে এই খাবার খুব সামান্য খরচে প্রস্তুত করতে পারবে;
একই সঙ্গে বাংলাদেশে পশু ডাক্তারের স্বল্পতা রয়েছে।
যে কারণে চাষি বা খামারিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার মতো দক্ষ করে গড়ে তোলার জন্য টেকনিক্যাল ট্রেনিং দরকার।
চামড়া শিল্প
২০১৫-১৬ সালের দিকে ১২০-১৫০ কেজি মাংসসম্পন্ন একটি গরুর চামড়া বিক্রি হতো ৩ হাজার থেকে ৪ হাজার টাকা।
এ অবস্থায় চামড়ার বাজারমূল্য পুনরুদ্ধার করে আগের মতো চামড়ার মূল্য ৪ থেকে ৫ হাজার টাকায় বিক্রি সম্ভব হলে মাংসের দাম প্রতি কেজিতে কমানো সম্ভব।
গো-হাটের খাজনা
গ্রামের একজন প্রান্তিক কৃষক থেকে শহরের মাংস ব্যবসায়ীর হাতে একটা গরু এসে পৌঁছাতে ৩ থেকে ৪ বার হাত পরিবর্তন করে তারপর পৌঁছায়।
এ ছাড়া অনেক হাটে প্রবেশের জন্য গরুপ্রতি ৮ থেকে ১০ হাজার টাকার একটা ব্যবধান কেবল হাট খাজনাতেই চলে আসে,
চাইলেই স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় জরুরি পদক্ষেপের মাধ্যমে এই হাটের উচ্চ খাজনার ত্বরিত সমাধান করতে পারে।
ফরমাল প্রসেসিং
বাংলাদেশে এখনও সনাতন পদ্ধতির মাধ্যমে গরু জবাই ও মাংস প্রসেসিং করা হয়,
যার কারণে অনেক মূল্যবান অংশটা সংরক্ষণ করা যায় না।
যেগুলো ওয়েস্টেজ হিসেবে নর্দমায় চলে যায়,
উন্নত সব দেশে ফরমাল প্রসেসিংয়ের মাধ্যমে মাংস প্রসেসিং করা হয় এবং এর মাধ্যমে অনেক মূল্যবান সম্পদ যেমন:
রক্ত, হাড়ের গুঁড়া, টেস্টিজ, মূত্রথলি ইত্যাদি সংরক্ষণ করা হয়।
সুতরাং বহির্বিশ্বের মতো দেশেও ফরমাল প্রসেসিংয়ের ব্যবস্থা করা সম্ভব হলে ওয়েস্টেজ আহরণ করে একদিকে যেমন মাংসের দাম কমানো যাবে;
অপরদিকে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতসহ পরিবেশ রক্ষার্থে ভূমিকা রাখা সম্ভব হবে।
ফার্মার মার্কেট
খামারে উৎপাদিত দুধ, মাংসসহ অন্যান্য পণ্য উৎপাদনের পর একজন ভোক্তার হাতে পৌঁছাতে তা ৩ থেকে ৪ বার হাত বদল হয়।
এসব পণ্য সরাসরি খামারিদের হাত থেকে ভোক্তার হাতে পৌঁছাতে পারলে মাঝখানের ২ থেকে ৩ জন মধ্যস্বত্বভোগীকে অপসারণ করা সম্ভব হবে।
সেই লক্ষ্যে দেশের বিভিন্ন শহর এলাকায় ফার্মার্স মার্কেট অর্থাৎ উৎপাদক এবং ভোক্তাদের সরাসরি বাজার ব্যবস্থা তৈরি করা প্রয়োজন।
অনুষ্ঠানে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) এ.এইচ. এম. সফিকুজ্জামান বলেন,
‘প্রায়ই ভোক্তারা গরুর মাংসের উচ্চ মূল্যের বিষয়ে অধিদফতরে অভিযোগ করেন।
পর্যালোচনা করে দেখা যায়, পাশের দেশগুলোতে গরুর মাংসের মূল্য আমাদের দেশের তুলনায় কম।’
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এখানকার গ্রামীণ অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি গরু, ছাগল, হাস, মুরগি, ভেড়াসহ অন্যান্য গৃহপালিত প্রাণী।
গ্রামীণ অর্থনীতির চালিকাশক্তিকে শক্তিশালী করার জন্য সংশ্লিষ্ট এই খাতের কিছু টেকসই পদক্ষেপ গ্রহণ করা অতীব জরুরি।
এ জন্য ভোক্তা অধিদফতর টেকসই পদক্ষেপ গ্রহণ করে মাংসের মূল্য হ্রাস করে ভোক্তাদের ক্রয়সীমার মধ্যে আনার লক্ষ্যে বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে আলোচনা করেছে।
মহাপরিচালক বলেন, গরু আমদানি বন্ধের পরও মাংসের উৎপাদন বেড়েছে।
প্রয়োজনীয় সহযোগিতা পেলে এ খাত অনেক ভালো করবে; এতে কর্মসংস্থান সৃষ্টির অনেক সুযোগ রয়েছে।
এ ছাড়া মডার্ন স্লটারিং হাউস করা হলে পশুর রক্ত যথোপযুক্তভাবে সংরক্ষণ করার মাধ্যমে রফতানি করা সম্ভব হবে।
প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হলে দেশের চাহিদা মিটিয়ে হালাল মাংস বিদেশে রফতানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব।
প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের পরিচালক ডা. আনন্দ কুমার বলেন,
গরুর মাংসের মূল্য হ্রাসে কর্মপরিকল্পনা ঠিক করে সংশ্লিষ্ট সব দফতরকে সমন্বয় করে কাজ করতে হবে।
বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক বলেন,
আমাদেরকে হয় গরুর দুধ উৎপাদনের দিকে নজর দিতে হবে অথবা মাংস উৎপাদনের দিকে নজর দিতে হবে।’
এসিআই প্রতিনিধি ড. সালেহ আহমেদ জানান, দেশে বছরে মাথাপিছু মাংসের চাহিদা ৪৪ কেজি হলেও উৎপাদন হয় ৫৫ কেজি।
মাংসের মূল্য কমাতে হলে উৎপাদন খরচ ও বিপণন খরচ কমাতে হবে। আর এ ক্ষেত্রে গরুর জাত নির্ধারণ করা গুরুত্বপূর্ণ।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. আনোয়ার হোসাইন বলেন,
মাংসের মূল্যহ্রাসের পাশাপাশি পশুর সুস্থতার বিষয়ে নজর দিতে হবে।
এ ক্ষেত্রে গরুর মাংস মূল্যহ্রাসের জন্য আন্তঃমন্ত্রণালয় সভার আয়োজন করা যেতে পারে।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন,
বর্তমান সময়ে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের ক্ষেত্রে কৃষি মন্ত্রণালয়, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অবদান অনস্বীকার্য।
গরুর মাংসের পাশাপাশি এর বিভিন্ন উপজাত নিয়ে বিজ্ঞানীদের কাজ করার সুযোগ রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সাংবাদিকদের লেখনীর মাধ্যমে সমাজে কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন আনা সম্ভব।
সবার সমন্বিত কাজের মাধ্যমে মাংসের মূল্যহ্রাস করে ভোক্তাদের ক্রয়সীমার মধ্যে আনা সম্ভব হবে।