বিদায়ী অর্থবছরের পুরোটা জুড়েই মূল্যস্ফীতির কারণে সবচেয়ে বেশি চাপের মুখে ছিল দেশের সাধারণ মানুষ।
এ অর্থবছরের গড় মূল্যস্ফীতির হার সরকারের লক্ষ্যমাত্রাকেও ছাপিয়ে গেছে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) বলছে, এক যুগের মধ্যে গত অর্থবছর দেশের গড় মূল্যস্ফীতির হার সর্বোচ্চ ছিল। যা ৯ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ।
পরিসংখ্যান বলছে, বার্ষিক হিসাবে, ২০২২-২৩ অর্থবছরের গড় মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ।
হিসাব বলছে, এটি গত এক যুগের মধ্যে সর্বোচ্চ।
এর আগে ২০১০-১১ অর্থবছরের গড় মূল্যস্ফীতি ছিল ১০ দশমিক ৯২ শতাংশ।
আর ২০২১-২২ অর্থবছরের মূল্যস্ফীতি ছিল ৬ দশমিক ১৫ শতাংশ।
প্রসঙ্গত, অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল গত অর্থবছরের বাজেট ঘোষণায়
দেশের গড় মূল্যস্ফীতির হার ৫ দশমিক ৬ শতাংশ হওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিলেন।
গড় মূল্যস্ফীতি বাড়লেও মাসিক হিসাবে গত জুন মাসের মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমেছে।
এ মাসে মূল্যস্ফীতির হার শূন্য দশমিক ২০ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৭৪ শতাংশে।
যা এর আগের মাস অর্থাৎ মে মাসে ছিল ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ। যা ছিল ১২ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
এর আগে ২০১১ সালের মে মাসে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ১০ দশমিক ২ শতাংশ।
তবে জুন মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়েছে।
যা মে মাসে ছিল ৯ দশমিক ২৪ শতাংশ। কাজেই সাধারণ মানুষকে চাপের মুখে পড়তে হয়েছে।
আর খাদ্য বহির্ভূত মূল্যস্ফীতির হার মে মাসে ছিল ৯ দশমিক ৯৬ শতাংশ, যা জুনে কমে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৬০ শতাংশে।
এদিকে বার্ষিক হিসাবে গ্রামাঞ্চলের গড় মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ।
যা ২০২১-২২ অর্থবছর ছিল ৬ দশমিক ৪২ শতাংশ।
আর মাসিক হিসাবে, মে মাসের তুলনায় জুনে গ্রামাঞ্চলের মূল্যস্ফীতি সামান্য কমেছে হয়েছে ৯ দশমিক ৮২ শতাংশ।
যা মে মাসে ছিল ৯ দশমিক ৮৪ শতাংশ।
অন্যদিকে বিদায়ী অর্থবছরে শহরের গড় মূল্যস্ফীতি ৮ দশমিক ৮৭ শতাংশ।
যা ২০২১-২২ অর্থবছরের ছিল ৫ দশমিক ৬৬ শতাংশ।
আর জুনে শহরের মূল্যস্ফীতির হার কিছুটা কমে ৯ দশমিক ৪৫ শতাংশে ঠেকেছে।
যা মে মাসে ছিল ৯ দশমিক ৯৮ শতাংশ।
তবে জুনে দুই অঞ্চলেরই খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার বেড়েছে।
গ্রামাঞ্চলের এর হার ৯ দশমিক ৯৫ শতাংশ আর শহরে ৯ দশমিক ২৬ শতাংশ।
যা মে মাসে ছিল যথাক্রমে ৯ দশমিক ৩২ শতাংশ এবং ৯ দশমিক ১৩ শতাংশ।