ঈদের ছুটি শেষে আবারও জমজমাট গাজীপুরের শিল্পাঞ্চল ।
শনিবার (৮ জুলাই) সকাল থেকে দলে দলে কর্মস্থলে যোগ দেন শ্রমিক-কর্মচারীরা।
সমৃদ্ধ বাংলাদেশের পথের অংশীদার তৈরি পোশাক।
ঈদের টানা ছুটি কাটিয়ে আবার পুরোদমে উৎপাদন শুরু হয়েছে শিল্প-কলকারখানায়।
গাজীপুরের ভোগড়া এলাকার একটি কারখানায় ফ্রান্স থেকে পাওয়া জ্যাকেটের অর্ডারের কাজ চলছে।
শনিবার (৮ জুলাই) ভোর থেকে শিল্পাঞ্চল গাজীপুরের অলিগলি ধরে কর্মস্থলে যান শ্রমিকরা।
দলে দলে যোগ দেন কাজে। তারা বলেন, পরিবারের সঙ্গে ছুটি কাটিয়ে ফের কাজে আসতে পেরে আনন্দিত।
এক নারী পোশাককর্মী বলেন,
‘ঈদের ছুটি কাটিয়ে আজ অফিসে এসেছি। কাজ শুরু করতে পেরে ভালো লাগছে।
অবশ্য প্রথম কর্মদিবসের সকালে উপস্থিতি কিছুটা কম জানিয়ে কারখানা কর্তৃপক্ষ জানায়,
শিপমেন্ট ধরতে পুরোদমে কাজ শুরু হয়েছে।
এ বিষয়ে গাজীপুরের স্টাইলিশ গার্মেন্টস লিমিটেডের (এইচআর অ্যাডমিন) ব্যবস্থাপক ইসমাইল জবিউল্লাহ বলেন,
‘নির্ধারিত তারিখে শিপমেন্টের জন্য আমাদের পূর্বপরিকল্পনা রয়েছে।
আমরা সে অনুসারেই কাজ করছি। এর জন্য ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা কারখানা চালানো হচ্ছে।
রাজধানীর পার্শ্ববর্তী গাজীপুরে নিবন্ধিত শিল্প-কলকারখানা দুই হাজারেরও বেশি রয়েছে।
দেশের রফতানি আয়ের একটি বড় অংশই আসে তৈরি পোশাক খাত থেকে।
৩ জুলাই রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,
সদ্যবিদায়ী ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশের রফতানি আয় ৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ বেড়েছে।
রফতানি আয়ের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫৫ হাজার ৫৫৮ দশমিক ৭৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে,
যা ২০২১-২২ অর্থবছরে রফতানি আয় হয়েছিল ৫২ হাজার ৮২ দশমিক ৬৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
এই অর্থবছরে তৈরি পোশাক রফতানি ১০ দশমিক ২৭ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৬ হাজার ৯৯১ দশমিক ৬১ মিলিয়ন ডলার,
যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে শূন্য দশমিক ৪১ শতাংশ বেশি।
তৈরি পোশাক খাতের রফতানি আয়ের মধ্যে ২৫ হাজার ৭৩৮ দশমিক ২০ মিলিয়ন ডলার এসেছে নিটওয়্যার রফতানি থেকে,
যা ১০ দশমিক ৮৭ শতাংশ বেড়েছে।
এ ছাড়া ২১ হাজার ২৫৩ দশমিক ৪১ মিলিয়ন এসেছে ওভেন পোশাক রফতানি থেকে,
যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৯ দশমিক ৫৬ শতাংশ বেশি।