দেশের বাজারে যেখানে ডিমের দাম আকাশচুম্বী, সেখানে রাজধানীর বুকেই প্রতিপিস ডিম বিক্রি হচ্ছে মাত্র ৫ টাকায়।
স্বল্প দামে ডিম কিনতে তাই সেখানে ভিড় জমাচ্ছেন সাধারণ ভোক্তারা।
ক’দিন আগেও বাজারে ডিমের দাম বেড়ে দাঁড়ায় ডজনপ্রতি ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা। এতে ডিমের হালি হয় ৬০ থেকে ৬৫ টাকা।
এছাড়া প্রতিপিস ডিমের দাম দাঁড়ায় ১৫ টাকা।
চলতি সপ্তাহে বাজারে ডিমের দাম কমলেও, এখনও মুদি দোকানে প্রতি পিসডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকা দরে।
যেখানে নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তদের সুষম খাদ্যের একটি বড় চাহিদা মেটায় ডিম, সেখানে ডিমের দাম বৃদ্ধি মানুষের মধ্যে বাড়িয়েছে হতাশা।
মূলত অসাধু ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের কারণে বেড়েছে ডিমের দাম।
এই সিন্ডিকেটের উদ্দেশ্য ভেস্তে দিতে রাজধানীর চকবাজারে নবীন বাংলাদেশ নামে একটি প্রতিষ্ঠান ১৫ টাকা পিসেরডিম মাত্র ৫ টাকা দরে বিক্রি করা শুরু করেছে।
সংগঠনটির গণসংযোগ কর্মকর্তা বলেন, মূলত দুটি উদ্দেশ্য সামনে রেখে এ কার্যক্রম চালু হয়েছে। প্রথমত,
মানবিক দিক থেকে যাতে সবাই সাশ্রয়ী মূল্যে ডিম কিনতে পারে; সে উদ্দেশ্যে লোকসান করে হলেও ৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
অন্যদিকে নিজ নিজ জায়গা থেকে সবাই যদি এভাবে উদ্বুদ্ধ হয়, তাহলে সিন্ডিকেট ভেঙে পড়তে বাধ্য।
আশিক জানান, যতদিন বাজারে ডিমের চড়ামূল্য থাকবে, ততদিন তাদের এ কার্যক্রম চলমান থাকবে।
প্রতিদিন সংগঠনটি ১০ হাজার পিসডিম বিক্রি করে বলে জানান তিনি।
এদিকে সস্তায় ডিম কিনতে পেরে খুশি ক্রেতারা।
বিশেষ করে এলাকার নিম্নবিত্ত এবং নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষের ভরসার জায়গায় পরিণত হয়েছে পুরান ঢাকার চকবাজারের এই স্থানটি।
সরজমিনে দেখা যায়, সন্ধ্যা হতেই চকবাজারের রয়েল হোটেলের পাশে সস্তায় ডিম কিনতে লম্বা লাইনে দাঁড়ায় মানুষ।
অনেকে কেনেন এক হালি অনেকে আবার দুই হালি। পরিবার কিংবা ব্যাচেলর সব ধরনের মানুষের কাছে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে ৫ টাকা পিসেডিম ক্রয়ের কার্যক্রমটি।
আশিক জানান, শুধু ডিম নয়, ভবিষ্যতে অন্যান্য পণ্যও যাতে সুলভ মূল্যে মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়া যায়, সে লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন তারা।
মূলত সবাই একযোগে রুখে দাঁড়ালে বাজারের সিন্ডিকেট ভেঙে পড়তে বাধ্য বলে জানান তিনি।