বিশ্ব অর্থনীতির এই ‘অশান্ত সময়ের’ পরিপ্রেক্ষিতে টেসলার গাড়ির দাম আরও কমতে পারে বলে জানিয়েছেন বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটির সিইও ইলন মাস্ক।
ওয়াল স্ট্রিট বিশ্লেষকদের সঙ্গে একটি কনফারেন্স কলে ইলন মাস্ক প্রয়োজনে গাড়ির দাম আরও কমানোর এই ইঙ্গিত দিয়েছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।
ইলন মাস্ক বলেন,
‘একদিন মনে হয় যে বিশ্ব অর্থনীতি এই ধসে পড়ল।
আবার পরদিন দেখা যায় সব ঠিক। আমি জানি না কি চলছে।
আমি বলব,
আমরা এখন একটি অশান্ত সময় পার করছি।’
সামষ্টিক অর্থনৈতিক অবস্থা স্থিতিশীল না হলে টেসলার গাড়ির দাম কমানো হবে উল্লেখ করে ইলন মাস্ক জানান,
আরও বেশি গাড়ি উৎপাদনের স্বার্থে মুনাফা মার্জিনের বিষয়টি কিছুটা ত্যাগ করাই যায়।
রয়টার্স জানিয়েছে, অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তায় বাজার প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে গত বছরের শেষের দিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র,
চীনসহ অন্যান্য বাজারে গাড়ির দাম বেশ কয়েকবার কমিয়েছে টেসলা।
পাশাপাশি কোম্পানিটি তাদের গাড়িতে ছাড়ও দিয়েছে।
যেমন,
এই বছরে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বিক্রি হওয়া টেসলার মডেল ওয়াই লং-রেঞ্জের দাম এক-চতুর্থাংশ কমিয়ে ৫৯ হাজার ৪৯০ ডলার করা হয়।
কোম্পানিটি জানিয়েছে,
বাজারে গাড়ি প্রতিযোগিতার মুখে তাদের মুনাফার মার্জিন চাপা পড়ে গেছে।
টেসলার মুনাফার মার্জিন গত চার বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন স্তরে নেমেছে।
চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে অর্থাৎ এপ্রিল থেকে জুনে কোম্পানিটির মুনাফা মার্জিন নেমেছে ১৮ দশমিক ২ শতাংশে;
যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ২৬ দশমিক ২ শতাংশ।
এ নিয়ে এনওয়াইইউ স্টার্ন বিজনেস স্কুলের অধ্যাপক অরুণ সুন্দররাজন বিবিসিকে বলেছেন,
টেসলার গাড়ির দাম আরও কমানোর সম্ভাবনা নিয়ে বিনিয়োগকারীরা উদ্বিগ্ন।
কম মুনাফা করে বেশি পরিমাণে বিক্রির এই কৌশলকে ‘সঠিক সিদ্ধান্ত’ বলেও চলতি বছরের শুরুর দিকে অবহিত করেছিলেন বিশ্বের এই শীর্ষ ধনী।
এ মাসের শুরুতে টেসলা জানিয়েছিল যে তারা বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে রেকর্ড সংখ্যক গাড়ি বিক্রি করেছে।
এ সময়ে কোম্পানিটি ৪ লাখ ৬৬ হাজার ১৪০টি গাড়ি বিক্রি করেছে,
যা গত বছরের একই সময়ে তুলনায় ৮০ শতাংশ বেশি।
আরও পড়ুন :