কোটি কোটি টাকা খরচ করেও মশা নিধনে ব্যর্থ রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশন।
দিন দিন ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠলেও কাজে আসছে না কোনো উদ্যোগ।
মশা নিধনে নিয়মিত অভিযানের পাশাপাশি বিভিন্ন সচেতনতামূলক কার্যক্রমের পরও ফলাফল শূন্য।
এমন অবস্থায় ডেঙ্গু নিধন কার্যক্রমে সমন্বিত উদ্যোগের অভাবকে দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা।
হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন রোগীর অবস্থা সংকটাপন্ন। কেন্দ্রের বাইরে বিলাপ করছেন স্বজনরা।
রাজধানী সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে প্রায় সব হাসপাতালে একই চিত্র।
স্বজনদের কান্নাকাটি আর আহাজারিতে প্রতিনিয়ত ভারী হয়ে উঠছে হাসপাতালগুলোর পরিবেশ।
চলতি বছর জানুয়ারি থেকে দেশে ডেঙ্গু রোগীর অবস্থা কাগজে-কলমে পাওয়া গেলেও অবস্থা খারাপ হতে থাকে মে মাসের শেষ দিকে।
আর রাজধানীতে ডেঙ্গু পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে ওঠে জুলাইজুড়ে৷
প্রথম থেকে নগরের দুই কর্তৃপক্ষ নানা উদ্যোগ নিলেও সুফল মিলছে না বাস্তবে। সরেজমিন দেখা যায়,
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে বৃহস্পতিবার বারোটি টিমের কাজ করার কথা থাকলেও মাঠে পাওয়া যায় দুটি টিমকে৷ অভিযান পরিচালনাকারীরা বলছেন,
এখন পর্যন্ত সচেতনতার ওপরই গুরুত্ব দিচ্ছেন তারা। সবাই সচেতন হলে পরিস্থিতির উন্নতি হবে।
যদিও বিশেষজ্ঞরা বলছেন ভিন্ন কথা। তাদের মতে, পরিস্থিতি সামলাতে সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে দুই নগর কর্তৃপক্ষকে।
ডেঙ্গুর হটস্পট জোন চিহ্নিত করে ব্যাপকভাবে অভিযান চালাতে হবে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ও কীটতত্ত্ববিদ ড. কবিরুল বাশার বলেন, ‘এ মুহূর্তে সামাজিক আন্দোলন খুবই জরুরি।
সিটি করপোরেশনের সঙ্গে সাধারণ মানুষকেও যুক্ত করতে হবে।
যেসব জায়গায় ডেঙ্গুর হটস্পট রয়েছে, সেসব জায়গায় গুরুত্ব দিয়ে মশা নিধন করতে হবে। তবেই পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে।’
এখন পর্যন্ত সারা দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন দুইশর বেশি লোক।
এর মধ্যে শুধু ঢাকাতেই প্রাণ হারিয়েছেন ১৭০ জনের বেশি।
আরও পড়ুন :