ডেঙ্গু রোগীর চাপে নাস্তানাবুদ শিশুদের জন্য দেশের সবচেয়ে বড় বিশেষায়িত চিকিৎসাসেবা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউট।
রোগীর চাপে প্রতিদিনই জটিল অবস্থায়ও শিশুকে নিয়ে ফেরত যেতে হচ্ছে অনেক অভিভাবককে।
সংকটের কথা স্বীকার করে বিশেষায়িত ওয়ার্ড খুলে পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রচেষ্টা চালাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
সব বয়সী মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হলেও বর্তমানে শিশুদের নিয়ে সবচেয়ে বেশি সংকটে আছেন অভিভাবকরা। এই যেমন সুরমা আক্তার।
ডেঙ্গু আক্রান্ত পাঁচ বছর বয়সী ছেলে ওমর ফারুকের চিকিৎসা বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটে চললেও এখানে ভর্তি করতে একপ্রকার যুদ্ধে অবতীর্ণ হতে হয় তাকে।
ডেঙ্গু আক্রান্ত ছেলে নিয়ে সুরমা যুদ্ধে জয়ী হলেও অনেকে হেরে যান।
সংকটের এই সময়ে যারা সন্তানকে হাসপাতালে ভর্তির সুযোগ পাচ্ছেন তারা যেন একটু বেশিই ভাগ্যবান।
যদিও তাদেরও ঘাম ঝরাতে হয় অনেক।
৬৮১ বেডের বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটে বর্তমানে ভর্তি ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ১১৯।
যেখানে ডেঙ্গুর জন্য আলাদা সিটের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে ৯৮টি।
চলতি মৌসুমে হাসপাতালটিতে ডেঙ্গু নিয়ে মারা গেছে ১০টি শিশু।
বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটের ডেঙ্গু সেলের ইনচার্জ ফারহানা আহমেদ বলেন, ‘প্রচুর ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হচ্ছে।
এখনও আমরা মনে করছি ঊর্ধ্বগতিতে আছে।’
তাই শিশুকে মশার কামড়মুক্ত রাখতে অভিভাবকদের প্রতি পরামর্শ তার।
নিজেদের সীমাবদ্ধতার কথা স্বীকার করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, রোগীর আসার পরিমাণ অনেক বেশি।
কিন্তু সীমাবদ্ধার কারণে সব রোগী ভর্তি কো যাচ্ছে না।
তবুও যে রোগী আছে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা সেই চাপ সামলাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে।
চলতি বছর সারা দেশে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৭০ হাজার।
আরও পড়ুন :