মাদারীপুরে প্রতিদিনই বাড়ছে ডেঙ্গুতে আক্রান্তের রোগীর সংখ্যা।
মোট আক্রান্তের প্রায় অর্ধেকই সদর উপজেলায়।
কিন্তু ডেঙ্গু বিস্তার রোধে প্রশাসনের কোন কার্যক্রম না থাকায় ক্ষোভ জানিয়েছে জেলাবাসী।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, জেলা শহরের বিভিন্ন এলাকায় সড়কে জমে আছে পানি।
অপরিষ্কার অবস্থায় ড্রেন, বাসা-বাড়ি ও রাস্তাঘাটে ডাবের খোসা ও ফুলের টপে থাকছে পানি থাকে।
যা থেকে বংশবিস্তার করছে এডিস মশা।
স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়,
গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ডেঙ্গুতে চারজন আক্রান্ত হয়ে মোট ১৩৩ জন জেলার বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
এরমধ্যে শিশু, নারীসহ বিভিন্ন বয়সের মানুষ রয়েছেন।
ডেঙ্গুতে আক্রান্তের মধ্যে ১২১ জনকে চিকিৎসা দিয়ে ছাড়পত্র দিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
বর্তমানে জেলা সদর হাসপাতাল ও তিনটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি আছেন ১২ জন রোগী।
মোট আক্রান্তের মধ্যে সদর উপজেলায় ৫৭ জন, শিবচরে ৩১, রাজৈরে ২৯ ও কালকিনি উপজেলায় ১৬ জন রোগী রয়েছেন।
মাদারীপুর শহরের ঈদগাহ মাঠ এলাকার ব্যবসায়ী মো. সেন্টু বলেন, প্রতিদিনই ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে।
বিভিন্ন জেলায় মানুষ মারাও যাচ্ছে।
অথচ ডেঙ্গু প্রতিরোধে প্রশাসন কিংবা পৌরসভার পক্ষ থেকে দৃশ্যমান কোন কার্যক্রম দেখা যায় না।
মো. ইকবাল হোসেন নামে এক শিক্ষক ক্ষোভ জানিয়ে বলেন,
ডেঙ্গু প্রতিরোধে মাদারীপুরে তেমন কোন কার্যক্রম চোখে পড়েনি।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে সব ড্রেন পরিস্কার করা ও পর্যাপ্ত মশার ওষুধ ছিটানো দরকার।
মাদারীপুরের পানিছত্র এলাকার বাসিন্দা বাকি বিল্লাহ বলেন,
ডেঙ্গুর আতঙ্ক থেকে আমরা প্রতিকার চাই।
তাই দ্রুত প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে সংশ্লিষ্ট দফতরকে অনুরোধ করছি।
তা না হলে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে অনেকের প্রাণহানি ঘটবে।
পৌরসভা কর্তৃপক্ষ বলছে, ডেঙ্গু প্রতিরোধে মাইকিং, লিফলেট বিতরণ ও ওষুধ ছিটানোসহ নানান কার্যক্রম অব্যহত রয়েছে।
মাদারীপুর পৌরসভার ২ নং প্যানেল মেয়র ও ৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাইদুর বাশার টফি জানান,
সরকার কিংবা জনপ্রতিনিধির পক্ষে ডেঙ্গু এককভাবে প্রতিরোধ সম্ভব নয়।
এডিস মশার বংশ বৃদ্ধিরোধে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।
বাসা-বাড়িতে জমে থাকা পানি নিয়মিত পরিষ্কার না করলে এডিস মশার বংশ বিস্তার দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
পরিষ্কারের পাশাপাশি সাধারণ মানুষকেও সচেতন থাকতে হবে।