সারাদিনের ধুলাবালি, ঘাম আর ক্লান্তিকে ছুটিতে পাঠাতে গোসলের বিকল্প নেই। আর পরিপূর্ণ একটি গোসল সাবান ছাড়া কল্পনাই করা যায় না।
এ সাবান শুধু পরিষ্কার করার কাজই নয়, ত্বকের নানা সমস্যার সমাধানেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
বাজারে বিভিন্ন ধরন ও গুণগতমানের সাবান পাওয়া যায়।
তবে সব ধরনের সাবানই ত্বকে ব্যবহার করা উচিত নয়।
বিশেষজ্ঞরা বলছে, সৌন্দর্য ধরে রাখতে ত্বক অনুযায়ী সাবান ব্যবহার করা প্রয়োজন।
ত্বকের সমস্যার প্রধান কারণ হলো পিএইচ স্তর।
সাধারণত বাণিজ্যিকভাবে তৈরি সাবানগুলোর পিএইচ মাত্রা ৯ থেকে ১১-র মধ্যে থাকে, যা ত্বকের পিএইচ মাত্রা বাড়িয়ে নানা সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে।
তাই কোন সাবান কোন ধরনের ত্বকের জন্য প্রয়োজন, সেটা না বোঝে ব্যবহার ত্বকের নানা ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
তাই ত্বকের ধরণ অনুযায়ী ব্যবহারের পরামর্শ দিয়ে থাকে ত্বক বিশেষজ্ঞরা।
ত্বক সাধারণত তৈলাক্ত, শুষ্ক, মিশ্র এবং সংবেদনশীল এই চার ধরনের হয়ে থাকে।
তাই এসব ত্বকের ধরন বুঝে সাবান ব্যবহারে গুরুত্ব দিতে হবে। যেমন-
তৈলাক্ত ত্বকের জন্য: অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল সাবান বা ল্যাভেন্ডার, ক্যামোমাইল এবং থাইমযুক্ত নির্দিষ্ট ফেস ক্লিনজারযুক্ত সাবান ব্যবহার করা উচিত।
শুষ্ক ত্বকের জন্য: অ্যালোভেরা, কোকো মাখন, অ্যাভোকাডো বা উদ্ভিজ্জ তেল রয়েছে এমন সাবানগুলো সেরা হিসেবে বিবেচিত।
মিশ্র ত্বকের জন্য: খুব বেশি শুষ্ক বা তৈলাক্ত নয় এমন ত্বককে বলা হয়ে থাকে মিশ্র ত্বক।
এসব ত্বকের জন্য গ্লিসারিনযুক্ত সাবানবিশেষ উপকারী।
সংবেদনশীল ত্বকের জন্য: ত্বক যদি খুব সংবেদনশীল এবং সংক্রমণপ্রবণ হয় তবে সেই ত্বককে সংবেদনশীল হিসেবে ধরা হয়।
এসব ত্বকের জন্য সাধারণত ভিটামিন ই এবং জোজোবা তেলযুক্ত সাবানগুলো ভালো কাজ করে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পরিমিত সাবানের ব্যবহারে এর সুফল পাওয়া গেলেও সাবানের অতিরিক্ত ব্যবহারে ত্বকে শুষ্কতা, র্যাশ ও জ্বালাপোড়া হতে পারে।
তাই পরিমিত ব্যবহারের ওপর বেশি গুরুত্ব দিতে হবে।
ত্বকের বিশেষ সুরক্ষায় গোসলের পর ত্বকে অলিভ ওয়েল অথবা বডি লোশন ব্যবহার করতে পারেন।
আরও পড়ুন :