সময়টা ২০১১ সাল। ব্রিটিশ পপ তারকা এডেলে গেয়ে উঠলেন ‘সামওয়ান লাইক ইউ’। গানটিতে ছিল বিষাদের সুর, বিচ্ছেদ এর ব্যথা, হারানো কাউকে খুঁজে পাওয়ার তীব্র আকাঙ্ক্ষা। আর কি কিছু ছিল?
ছিল বটে। গানটি সন্তর্পণে মনে করিয়ে দেয়, দোষারোপের পাল্লা যার দিকেই ভারী হোক না কেন, যা শেষ হয় তা থেকে বিনা অভিযোগে সরেও দাঁড়েতে হবে নিজেকেই।
অনেকে অতীতের সম্পর্কগুলোকে ব্যর্থতার লক্ষণ বলে মনে করেন। অথবা ভাবেন, তারা ভুল ব্যক্তিদের সঙ্গে ডেটিং করে সময় নষ্ট করেছেন।
একটি সম্পর্ক শেষ হলে পরে ব্যথা, বিভ্রান্তি এবং অপরাধবোধ অনুভব করা খুবই স্বাভাবিক।
তবে চাইলে আমরা এই অপ্রীতিকর অভিজ্ঞতা থেকে অনেক কিছু শিখতে পারি।
কিন্তু তা সত্ত্বেও বিচ্ছেদ আমাদের জন্য হতে পারে দারুণ শিক্ষণীয়।
উদাহরণস্বরূপ, আপনার প্রাক্তন যদি আপনার সাথে প্রতারণা করে এবং আপনি তার সাথে সম্পর্ক ছেদ না করে তাকে আরো একবার সুযোগ দেন।
তা সত্ত্বেও সে যদি একই কাজের পুনরাবৃত্তি ঘটায়, তখন আপনি পরিষ্কার বুঝতে পারবেন প্রতারণার পরিণাম কী এবং পরবর্তীতে নিজেও তা করা থেকে বিরত থাকবেন।
ভাঙা সম্পর্ক থেকে আপনি যে শিক্ষা গ্রহণ করছেন তা আপনার পরবর্তী সম্পর্কের জন্য কাজে লাগবে।
রোমান্টিক, প্ল্যাটোনিক বা বৈবাহিক- সম্পর্কটা যেমনই ছিল না কেন, তা শেষ হয়ে গেলেও অনুভূতির রেশ থেকে যায়, তার সাথে থাকে অসংখ্য স্মৃতি।
ভেঙ্গে যাওয়া সম্পর্কগুলো থেকে শিক্ষা নেয়ার ৫টি ধাপের কথা জানিয়েছেন সম্পর্ক পরামর্শদাতা এবং বিবাহ থেরাপিস্ট ক্লিনটন পাওয়ার-
অতীত থাকুক অতীতেই
আপনার বর্তমান কিংবা ভবিষ্যতের প্রিয় মানুষটির সাথে আপনি তখনই ভালো থাকতে পারবেন যখন আপনার অতীত আপনার জন্য আর দুঃস্বপ্ন বয়ে আনবে না।
তাই অতীতকে মেনে নিন। মনে রাখবেন, আমরা সবাই ভুল করি কিন্তু সে ভুলগুলোই আমাদের একমাত্র পরিচিতি না। এটাই হতে পারে আপনার জন্য প্রথম শিক্ষা।
সময়ে মিলবে উত্তর
স্মৃতি হাতড়ে দেখুন
আপনার অতীত সম্পর্কের ক্ষেত্রে কী কাজ করেছে এবং কী করেনি তা ভাবতে কিছুটা সময় নিন। স্মৃতিকাতর হলে চলবে না।
এসময় মোটেও কার দোষ বেশি ছিল বা কার কম তা দাঁড়িপাল্লায় না মেপে, সম্পর্কটিকে একটি একক ঘটনা হিসেবে ভাবুন।
সিনেমাতে যেমন আমরা তৃতীয় ব্যক্তির দৃষ্টি দিয়ে উভয়পক্ষকে মাপি, ঠিক সেভাবে। এতে করে ভুলগুলো নিয়ে আগাম সচেতন হতে পারবেন।
নিজেকে প্রশ্ন করুন
ভেঙ্গে যাওয়া সম্পর্ক আপনাকে কী শেখালো তা সন্ধান করুন। আগামী সম্পর্কে কোন কাজটি ভিন্নভাবে করা যেতে পারে?
কোন অভ্যাসটি বাদ দিতে হবে? আপনি নিজের মাঝে কী কী পরিবর্তন আনতে পারেন?
একাধিক বিচ্ছেদের ক্ষেত্রে কোনো প্যাটার্ন খুঁজে পেয়েছেন কি? নিজেকে এই প্রশ্নগুলো জিজ্ঞাসা করুন।
এ প্রক্রিয়ায় নিজেই বেশ কিছু অমীমাংসিত রহস্য সমাধান করতে পারবেন।
স্পেশালিস্টের সাহায্য নিন
আপনি যদি এগিয়ে যাওয়া কঠিন মনে করেন তবে পেশাদার সাহায্য চাইতে দ্বিধা বোধ করবেন না।
স্পেশালিস্টের সাহায্য চাওয়া দোষের কিছু নয়। কাউন্সেলিং আপনাকে আগামী সম্পর্কের জন্য গড়ে তুলতে সাহায্য করবে।