সূর্যগ্রহণ একটি অসাধারণ মহাজাগতিক ঘটনা। প্রাচীনকালে এ ঘটনাকে দেবতাদের ক্রোধের নিদর্শন বলে মনে করা হতো। তবে আধুনিক যুগে এই মহাজাগতিক ঘটনা দেখার জন্য উদ্গ্রীব থাকেন জ্যোতির্বিদ ও সাধারণ মানুষ। চলতি বছরের প্রথম পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ হতে চলেছে আগামীকাল সোমবার। ৭ দশমিক ৫ মিনিট পর্যন্ত স্থায়ী এ সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো, কানাডাসহ প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলো থেকে।
বিজ্ঞানীদের মতে, গত ৫০ বছরের মধ্যে এবারে পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ দীর্ঘতম। সর্বশেষ ১৯৭৩-এ রকম দীর্ঘ সূর্যগ্রহণ দেখা গিয়েছিল।
পৃথিবী, চাঁদ এবং সূর্য যখন এক সারিতে চলে আসে, তখন পৃথিবী ও সূর্যের মধ্যে চাঁদ অবস্থান করে, তখনই গ্রহণ হয়। চাঁদের অবস্থান অনুযায়ী গ্রহণের ধরন নির্ভর করে। চাঁদের ছায়ায় সূর্য পুরোপুরি ঢেকে গেলে তাকে পূর্ণগ্রাস গ্রহণ বলা হয়। আগামী ৮ এপ্রিল সেই পূর্ণগ্রাস গ্রহণ হতে চলেছে। সে দিন আকাশে চাঁদের আকারও অন্যান্য দিনের তুলনায় বড় হবে।
চাঁদের আকার সূর্যের চেয়ে অনেক ছোট হলেও চাঁদ পৃথিবীর অনেক কাছাকাছি রয়েছে। তাই তার ছায়া পৃথিবীর দৃশ্যপট থেকে সূর্যকে পুরোপুরি ঢেকে দেবে।
বিজ্ঞানীদের দাবি, আগামী ৮ এপ্রিল টানা সাড়ে ৭ মিনিট সূর্য দেখা যাবে না। চাঁদের ছায়ায় সূর্য ঢেকে থাকবে ওই সময়ে। তারপর ধীরে ধীরে গ্রহণ কাটবে।
পূর্ণগ্রাস গ্রহণ বিরল নয়। তবে বছরের প্রথম গ্রহণটিকে আর পাঁচটা গ্রহণের চেয়ে আলাদা মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। কারণ, গ্রহণ সাধারণত এত দীর্ঘ সময় ধরে চলে না। দু-এক মিনিটের জন্য চাঁদ সূর্যকে আড়াল করে। তারপরই আবার সূর্য দেখা যায় আকাশে। সাড়ে সাত মিনিটের গ্রহণ নিয়ে তাই নতুন করে কৌতূহল তৈরি হয়েছে আগ্রহীদের মধ্যে।