টাঙ্গাইলের সখীপুরে স্বামীর সঙ্গে একটি বিনোদনকেন্দ্রে ঘুরতে গিয়ে স্ত্রীকে (২৩) গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ সময় স্বামীকে গাছে বেঁধে রেখেছিল অভিযুক্তরা।
নির্যাতনের একপর্যায়ে ওই তরুণী অচেতন হয়ে পড়লে অভিযুক্তরা সেখানে তাদের ফেলে চলে যান।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার নয়াকচুয়া গ্রামের চাঁদেরহাট বিনোদন কেন্দ্রের পাশের গজারি বনে এ ঘটনা ঘটে।
পরে রাত একটার দিকে সাতজনকে আসামি করে সখীপুর থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী নারীর স্বামী।
মামলায় উল্লেখ করা হয় হয়,
প্রেমিক-প্রেমিকা হিসেবে সন্দেহ করে পাশের গজারি বনে নিয়ে গিয়ে সাতজন মিলে তার স্ত্রীকে ধর্ষণ করে।
ভুক্তভোগী নারী বর্তমানে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে চিকিৎসাধীন।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ছয়জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
তারা হলেন বুলবুল আহমেদ (২৪), লাবু মিয়া (২৬), মোহাম্মদ বাবুল (৩০), আসিফ হোসেন (২৩), শফিক আহমেদ (২৫) ও মোজাম্মেল হক (৩০)।
তাদের সবার বাড়ি উপজেলার কচুয়া গ্রামের দক্ষিণপাড়া এলাকায়।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে,
বৃহস্পতিবার বিকেলে চাঁদেরহাট বিনোদনকেন্দ্রে বেড়াতে যান তারা।
সন্ধ্যার দিকে বিনোদনকেন্দ্র থেকে বেরিয়ে আসার পরই আসামিরা তাদের প্রেমিক-প্রেমিকা হিসেবে সন্দেহ করে পাশের গজারি বনে নিয়ে যান।
সেখানে প্রথমে তাদের মারধর করা হয়। এরপর স্বামীকে বেঁধে রেখে ওই তরুণীকে সাতজন মিলে ধর্ষণ করেন।
একপর্যায়ে সে অচেতন হয়ে পড়লে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা চলে যান।
সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম সংবাদমাধ্যমকে বলেন,
রাত একটার দিকে ওই দম্পতি থানায় এসে ধর্ষণের অভিযোগ দেয়ার পরই ওই গ্রামে অভিযান চালিয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছয়জনকে গ্রেফতার করা হয়।
বাকি একজনকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। আসামিদের শুক্রবার সকালে টাঙ্গাইল আদালতে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন :